নেপাল ভ্রমণের (০৪ রাত ৫ দিন) বিস্তারিত ট্যুর প্ল্যান

১ম দিনঃ যাত্রা শুরু কাঠমান্ডু এয়ারপোর্ট থেকে
আমাদের কাঠমান্ডু প্রতিনিধি ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে আপনাদের সাদর অভ্যর্থনা জানাবে এবং অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রোসেসিং প্রক্রিয়া শেষে আপনাদের হোটেলে ট্রান্সফার করা হবে। হোটেলে চেক ইন এবং ফ্রেশ হওয়ার পর সন্ধ্যায় থামেলের আশেপাশে আপনি নিজেই ঘুরে দেখতে পারেন। সন্ধ্যা ৭টাই সাংস্কৃতিক অননুষ্ঠানের সাথে বুফে ডিনারের আয়োজন থাকবে। অতঃপর রাতে থামেলে হোটেলে রাত্রি যাপন।

২য় দিনঃ কাঠমান্ডু-পোখারা নয়নাভিরাম ড্রাইভ
সকালে একটু আগে ভাগে (৭:০০ টাই ) ব্রেকফাস্ট সেরে নিয়ে হোটেল থেকে চেক আউট করে আমরা রওনা দিবো ২০০ কিমিঃ দূরে পোখরার উদ্দেশে। না, এই ৭-৮ ঘন্টার জার্নি আপনাদের জন্য বোরিং হবে না। দেশঘুরির সাথে যেতে যেতে আপনারা দেখতে পাবেন প্রাচীন শম্ভু নাথ বৌদ্ধবিহার(আমাদের পেইজের যেই ছবিটা সবার উপরে দাওয়া), মাংকি টেম্পল সহ আরো কিছু প্রাচীন নিদর্শন। পথিমধ্য মনোকামনা (Manakamana) কেবল কার ভ্রমণের জন্য ৪৫মিনিটের ব্রেক দেওয়া হবে। সন্ধ্যায় হোটেলে পৌঁছে সেদিনের এক্টিভিটি শেষ। রাতে হোটেলেই আমরা ডিনার সারবো তবে অন্য কোথাও ডিনার হলে গাইড আপনাদের আগেই জানাবে।

৩য় দিনঃ পোখারা সাইট সিইয়িং
সূর্যোদয়ের আগে (৫ঃ০০) ঘুম থেকে উঠে সারাংকোটের উদ্দেশে রওনা হবো। আমাদের উদ্দেশ্য সূর্যোদয় দেখা। দেশ বিদেশের হাজারো পর্যটক শুধু মাত্র এই দৃশ্যটি অবলোকনের জন্য নেপাল ছুঁটে যায়। হিমালয়ের শীর্ষ চূড়ায় যখন সূর্যের সোনালী আলোর প্রতিফলন এক মায়াবী আভার জন্ম দেয়।তবে নেপাল না ঘুরেও দেশঘুরি.কম এর ইউটুব চ্যানেলে গিয়ে আপনি এর আবহটা ঢেকে নিতে পারেন। হিমালয় রেঞ্জ দর্শন শেষে আমরা হোটেলে সকালের ব্রেকফাস্ট করবো আর অনিন্দ্য সুন্দর পোখারা দর্শনে বাড়িয়ে পরবো । হাফ ডে পোখারা দর্শনের তালিকায় থাকবে ডেভিস ফলস,বিন্দুবাসিনি মন্দির, বুদ্ধা স্টুপা, গুপ্তেস্বর গুহা ইত্যাদি।

ও !!! ফেওয়া লেক পরিদর্শন ও ১ঘন্টা বোটিং এর ব্যবস্থা পেমেন্ট সহ দেশঘুরিই করে দিবে। এই দিনও আমরা পোখরায় থাকবো।

৪র্থ দিনঃ পোখারা হতে নাগরকোট জার্নি ও সাইট সিইয়িং
খুব সকালে (৭ঃ০০) ব্রেকফাস্ট করে পোখারা হোটেল থেকে চেক আউট করে আমরা নাগরকোর্টের উদ্দেশে ভক্তপুর হয়ে যাত্রা করবো।ভক্তপুর এই অংশটি মালদারগাইমের বিখ্যাত ভদ্রগাঁও নামে পরিচিত এবং উনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যর একটি সাইট। নাগরকোট, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২১৭৫ মিটার উচ্চুতে অবস্থিত আর আমাদের ঐখানে পৌঁছাতে প্রায় বিকেল হয়ে যাবে। ৫ পর্বত শৃঙ্গ ঘেরা নাগরকোর্টের সূর্যাস্ত দৃশ্য দেখতে দেখতে আমাদের দেশঘুরির ৪র্থ দিনের ভ্রমণ শেষ হবে। নাগরকোর্টেই আপনাদের রাত্রি যাপন।

৫ম দিনঃ কাঠমান্ডু-এয়ারপোর্ট ড্রপ
শেষদিনে হিমালয়ের চূড়ায় সোনালী রোদের খেলা দেখার শেষ সুযোগের ব্যবস্থা থাকবে, শুধু আপনাদের একটু ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকাল ৭:৩০ এ ব্রেকফাস্ট শেষে দেশঘুরির গাইড আপনাদের ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট এ ড্রপ করে দিবে। আমরা আশা করি ঢাকার উদ্দেশে একরাশ সুখস্মৃতি নিয়ে আপনাদের ফিরতি যাত্রা শুভ হবে।